ছাত্রলীগের মারপিটের পর আইসিটি মামলার শিকার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানের জামিন হয়নি। রোববার খুলনা মহানগর হাকিম আল আমিনের আদালতে তার জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত জামিন মঞ্জুর করেননি। জাহিদুর এখন খুলনা কারাগারে রয়েছেন।
জাহিদুর রহমান কুয়েটের ইসিই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন ড. এম এ রশিদ হলের ১১৭ নং রুমে।
১১ সেপ্টেম্বর মোবাইল অ্যাপসে আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরকার বিরোধী বার্তা আদান-প্রদানের (চ্যাট) অভিযোগে জাহিদুরকে কুয়েটের ড. রশিদ হলের গেস্ট রুমে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতারা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাকে পেটানো হয়। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাহিদুর খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিনই আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত রোববার জামিন শুনানীর দিন ধার্য করেন।
জাহিদুরের আইনজীবী আসাদুজ্জামান মিলটন বলেন, ‘আদালতকে আমরা বলেছি, এই মামলার কোনো মেরিট নেই। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এই মামলা চলতে পারে না। এছাড়া ভিকটিম এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। এ অবস্থায় তাকে জামিন দেওয়া উচিত। আদালত জামিন মঞ্জুর করেননি।’
এদিকে মামলা দায়ের পর থেকে জাহিদুরের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তার ভাই মামলা এবং জাহিদুরের বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইছেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগরীর খানজাহান আলী থানার এস আই জিলন শিকদার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মামলার তদন্ত চলছে। আসামির মোবাইল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।