ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ইস্যুতে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম না চালাতে পারা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা প্রকাশ্যে আসছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার ইস্যু থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার পতনের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার।
গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের বিষয়টি সামনে আনেন।
প্রথমে বর্তমান ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম পরে সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের পরিচয়। এবার সামনে এসেছে ২০২২-২৩ সনের ঢাবি ছাত্রশিবির সভাপতির নাম। জানা গেছে তার নাম সিবগাতুল্লাহ। বর্তমানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন তিনি।
জুলাইয়ের আন্দোলনে তার ভূমিকাও ছিল যথেষ্ট। বর্তমান সভাপতি সাদিক কায়েম প্রকাশ্যে আসার পর তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন যেখানে কায়েম এবং আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন।
সিবগাতুল্লাহ বলেন- আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ফ্যাসিবাদের আশ্রয়দাতারা আরও বড় ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কারণেই ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে। আসেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাই এক হয়ে কাজ করি। ঐক্য ছাড়া এ লড়াই প্রায় অসম্ভব। শুধু নামের কারণে আর অপপ্রচারের কারণে কাউকে আলাদা না করে ফেলি।
ছাত্রদল ইস্যুতে তিনি বলেন, ছাত্রদল ইতোমধ্যে লড়াইয়ের মাঠে পরীক্ষা দিয়েছে। আমি নিজে সভাপতি রাকিব ভাইয়ের শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন দেখেছি। বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামী দলগুলোর অবদানও জাতি উদ্ধারে ব্যাপক।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস করেন দেশের স্বার্থে যে তরুণরা সবচেয়ে অবদান রাখবে তাদের মধ্যে সাদিক কায়েমেরা অন্যতম। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীনতা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের ঐক্য অনিবার্য। ঐক্যের জন্য অনেক বড় হৃদয় লাগে। কিন্তু আমরা কি পারবো এতটা উদার হতে?
খুলনা গেজেট/এনএম