জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে টানা ছয় দিন কর্মকর্তাদের ‘কলমবিরতি’র পর আবারও কাজ শুরু হয়েছে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বেনাপোল বন্দরে। স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে কাস্টমস হাউজ, বন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কাজে যোগ দিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। পণ্যের পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের কাজ শুরু হওয়ায় সকাল থেকে কাস্টম ও বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।’
গত ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কাস্টমসে এ কলম বিরতির ডাক দেয়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে অনেক কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় পুষিয়ে নিতে সবাই আগেভাগে কাজ সেরে নিচ্ছেন। ১৪ থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ৬ দিন কলমবিরতি পালন করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।’
তিনি জানান, ১৪ মে প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কলমবিরতি চলে। বাকি দিনগুলোতে বেলা ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালিত হয়। এর মধ্যে ১৬ মে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ২০ মে পুরোপুরি কাজ চললেও ২১ মে পূর্ণদিবস কলমবিরতি পালিত হয়। এ সময় আমদানি-রফতানিসহ মালামাল শুল্কায়ন ও খালাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়। ছয়টি পণ্য রফতানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর যেসব পণ্যবাহী ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছিল তারা মালামাল নিয়ে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। এসব রফতানিকারকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল বন্দরের কাছে আবেদনের মাধ্যমে ট্রাকগুলো ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে সাড়ে চারশ থেকে ৫শ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়। আর বেনাপোল দিয়ে আড়াইশ থেকে ২৮০ ট্রাক পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে রফতানি হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ভারত থেকে আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস