অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এমন দুর্দান্ত খেলল কিউইরা যেন যে কেউ বলবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড অসিদের বেশি পরিচিত নিউজিল্যান্ড দলের। আগে ব্যাটিং পেয়ে কামিন্স-স্টইনিসদের রীতিমতো তুলোধোনা করলেন দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে।
দুই ওপেনারের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ভর করে মাত্র ৩ উইকেটে ২০০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। আর ২০১ রানের তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
১৭.১ ওভারে ১১১ রানে গুটিয়ে গেছে অসিরা। ফলে ১৭ বল হাতে রেখে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দারুণ সূচনা করল কেন উইলিয়ামসনের দল।
দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই অসি শিবিরে আঘান হেনেছেন কিউই পেসার টিম সাউদি। অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের স্টাম্পই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
৪র্থ ওভারে সান্টনারের শেষ বলে এক্সট্রা কভারে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়ক করতে পেরেছেন ১১ বলে ১৩ রান।
পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে ফিরিয়েছেন সাউদি। তার পেসে টাইমিং হয়নি মার্শের। বল উঠে যায় আকাশে। দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন জিমি নিশাম। মার্শ ফিরেছেন ১২ বলে ১৬ রানে।
পাওয়ার প্লের আগের ওভারেই ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অসিরা।
দলীয় সংগ্রহ ৫০ পার হতেই চোখ ধাঁধানো ক্যাচে অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিসকে সাজঘরের পথ দেখান ফিলিপ। সান্টনারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন স্টইনিস। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান।
১০ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে ৬২ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। ততক্ষণে অনেক পিছিয়ে পড়ে অসিরা। জয় জন্য বাকি ৬০ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৩৯ রান।
এ পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর বদলে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট দিয়ে আসেন টিম ডেভিড। সান্টনারের বলে নিশামের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮ বলে ১১ রান করেছেন ডেভিড।
১৩তম ওভারে ফার্গুসনের প্রথম শিকারে পরিণত হন অসি উইকেটকিপার-ব্যাটার ম্যাথিউ ওয়েড। কিপার কনওয়ের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন মাত্র ২ রান।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছাড়ালেও ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে অসিরা।
এ পর্যায়ে ৩০ বলে ১০৪ রানের দূরে দাঁড়িয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। যা টেলএন্ডারদের দ্বারা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। জয়ের অপেক্ষায় শুধু প্রহর গুনতে থাকে নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা।
১৭তম ওভারে এসে ট্রেন্ট বোল্টোর পেসে মিচেল স্টার্ক (৪) ও অ্যাডাম জাম্পা (০) সাজঘরে ফিরেছেন। ১৮তম ওভারে এসে প্রথম বলেই একাই লড়তে থাকা প্যাট কামিন্সকে ফেরান সাউদি। ১৮ বলে ২১ রানে থামেন কামিন্স। ফলে স্কোরবোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ থেকে যায়।