যশোরের চৌগাছায় ৫৭০ গ্রাম বিস্ফোরকদ্রব্যসহ পঙ্কজ কুমার রায় (৪০) ও আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তারকৃত পঙ্কজের বাড়ি চৌগাছা পৌর এলাকার তারনীবাস গ্রামে ও আব্দুর রাজ্জাক নারায়ণপুর ইউনিয়নের পেটভরা গ্রামে। আব্দুর রাজ্জাক চৌগাছা শহরের পারবাজারে একটি দোকানে গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে দাঁতের চিকিৎসা করেন।
শুক্রবার র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি দল তাদের গ্রেফতার করলেও শনিবার বিকালে চৌগাছা থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের সিপিসি-২ এর ডিএডি নুরুল আমিন বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। রবিবার ওই দুই ব্যক্তিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে র্যাবের একটি দল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরে মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে গোপনে সংবাদ পান চৌগাছার বাজেখড়িঞ্চা গ্রামের মুচিগাড়ি মাঠে মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে বিকাল ৫ টা ৪৫ মিনিটে ওই মাঠের আবু বকরের আমবাগানে পৌছালে কিছু লোক পালিয়ে যায়। এসময় পঙ্কজ রায়কে আটক করে পালানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করলে কাছে একটি সাদা পলি প্যাকে ৪শ’ গ্রাম বিস্ফোরক জাতীয় সাদা বর্ণেরদ্রব্য এবং অপর একটি স্বচ্ছ পলিথিনের মধ্যে ১৭০ গ্রাম বিস্ফোরক জাতীয় সাদা পাউডার উদ্ধার হয়।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদে পঙ্কজ রায় জানায় সে উল্লেখিত বিস্ফোরক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ক্রয় করেছে। পরবর্তীতে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে বিস্ফোরকদ্রব্য সমূহ সে পঙ্কজ রায়কে সরবরাহ করেছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকালে র্যাব তাদের থানায় সোপর্দ করে ও তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএ