যশোরের চৌগাছায় যুবলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আকরাম হোসেন (৩৩), রোকেয়া বেগম (৫০) ও শিপন হোসেন নামে তিনজনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শিপনকে খুলনায় রেফার করা হয়েছে। সোমবার রাতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত আকরাম হোসেন বলেন, আমি যুবলীগের সদস্য এবং ফুলসরা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরীর গ্রুপ করি। খুব শিগগির ফুলসরা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হবে। আমি সভাপতি পদে ফরম জমা দিয়েছি। আমার প্রতিপক্ষ কবীর হোসেন। যুবলীগের দায়িত্ব যাতে না নিতে পারি সে কারণে কবীর হোসেন, তার ভাই শিপন হোসেন, আমিরুল রাসেল ও নাজমুল গভীর রাতে আমাকে ঘুম থেকে তুলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ঠেকাতে গেলে আমার মাকেও মাথায় ও ঘাড়ে কোপায়। পরে স্থানীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফুলসরা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরীর মোবাইলফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে ফুলসরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম মান্নান বলেন, ফুলসরা ইউনিয়ন যুবলীগ নিয়ন্ত্রণ করে কবীর হোসেন ও আকরাম হোসেনরা। তারা যুবলীগের কেউই না। গতরাতে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে দুই গ্রুপের সাথে বিরোধের কারণে সংঘর্ষ হয়েছে। আহত শিপনের অবস্থা খুবই খারাপ, তাকে খুলনায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস একই বিভাগের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাত ৩টার পরে শিপন হোসেন, আকরাম হোসেন ও রোকেয়া বেগম নামে তিন জন আহত রোগী হাসপাতালে আসে। তার মধ্যে শিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আকরাম ও রোকেয়া বেগমকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থাও খুব একটা ভাল না।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম