সারাদেশের সকল গ্রামের মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষে শনিবার দেশব্যাপী শুরু হয়েছে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম। এ দিন যশোরের চৌগাছায়ও টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই কিছু ইউনিয়নে সৃষ্টি হয় বিশৃংখলা। একটি কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের সাথে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটিতে মারপিটে আহত হয়েছেন এক গ্রাম পুলিশ। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় একযোগে কার্যক্রম শুরু হয়। ইউনিয়নে নির্ধারিত একটি করে স্থান ও পৌরসভায় হাসপাতালে কার্যক্রম চালু করা হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া স্কুলমাঠে কার্যক্রম চলমান অবস্থায় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সৃষ্টি হয় বিশৃংখলা। সেখানে দায়িত্বরত রেজাউল ইসলাম নামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মেরে আহত করেন টিকা গ্রহীতারা।
এছাড়া সকাল ১০ টার দিকে স্বরুপদাহ ইউনিয়নে সরকারি দলের একাধিক নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরদের দেয়া স্লিপে সাধারণ মানুষকে টিকা কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে সৃষ্টি হয় বিশৃংখলা।
সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়নপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে যেয়ে দেখা যায় টিকা নিতে আসা নারী পুরুষের লম্বা লাইন। প্রচন্ড গরম আর রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড থেকে ৬শ’ ব্যক্তি যাদের বয়স ৫০ এর উপরে থাকবে এমন লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মনোনীত করার কথা থাকলেও এখানে হয়েছে ভিন্ন। ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড থেকেই মানুষ আনা হয়েছে কেন্দ্রে, আছে ২০/২৫ বছরের অনেক নারী পুরুষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এখান থেকে ৫০ এর নিচে বয়সের লোকজনকে পরে টিকা নিতে বলেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে টিকা কার্যক্রম শেষে হয় বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফুল ইসলাম জানান, গোটা উপজেলাতে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা সকাল থেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করেছেন।
নির্বাহী অফিসার এনামুল হক বলেন, কিছু এলাকাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ত্রুটির কারণে বিশৃংখলা হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। সব মিলিয়ে কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম