যশোরের চৌগাছার প্রধান প্রধান সড়কসহ গ্রামের সড়কগুলো নানা যানবাহনের দখলে চলে গেছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ সকল যান। অধিকাংশ যানবাহনের চালক অদক্ষ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া পৌর সদরের সড়কগুলোতে যানজটের অন্যতম কারণ এই যানবাহন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আধুনিকতার স্পর্শে পায়ে চালনা করা ভ্যান-রিকসা এখন হয়েছে ব্যাটারি চালিত। এই ব্যাটারি চালিত ভ্যান- রিকসার থেকে আর একটু আধুনিক ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক। এ সকল যানবাহন মানুষকে কিছুটা হলেও দ্রুত গন্তেব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করলেও তা অনেক সময় দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে।
চৌগাছা পৌর সদরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোহাম্ম্দ বাবু, স্বপন কুমারসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রথম দিকে ব্যটারি চালিত ভ্যান বা ইজিবাইক সকলের কাছে কিছুটা হলেও স্বস্তির বাহন হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চৌগাছাতে যে পরিমাণ এই অবৈধ যানবাহনের আবির্ভাব ঘটেছে তা এখন মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
সকালে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার আগেই দোকানের সামনে সারি সারি ভ্যান বা ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এর সংখ্যা। এক সময় পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে একজন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করবে সেই জায়গাটুকু থাকেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কে চলাচলরত নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, থি-হুইলারের চালকের বড় একটি অংশ অদক্ষ, শিশু ও বৃদ্ধ। তারা সড়কের কোন নিয়ম কানুন কিছুই বোঝেনা। নিজের অর্থে কেনা বা ভাড়া করা ভ্যান ইজিবাইক নিয়ে অদক্ষ চালকরা সড়কে নেমে পড়ছে। যেখানে সেখানে থেমে যাত্রী উঠা নামা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাসপাতাল কিছুই মানছে না এর চালকরা, বাজাচ্ছে উচ্চ শব্দে হর্ন। বর্তমানে বেশ কিছু ইজিবাইক ও নছিমন গাড়িতে অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহৃত হর্ন লাগানো হয়েছে। তারা যে কোন বাহন বা পথচারীর পিছে এসে এই হর্ন বাজাচ্ছে।
সম্প্রতি চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কে অদক্ষ ইজিবাইক চালক সড়কে বেপরোয়া গতিতে ইজিবাইক চালানোর সময় সড়কের বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিজে ইজিবাইক থেকে ঝাঁপ দিয়ে রক্ষা পান। তবে ওই বাহনে থাকা ৩ যাত্রী মারাত্মক আহত হন। এছাড়া ছোট খাটো এই যানবাহন সড়কে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে থাকছে আর দুর্ভোগ বাড়ছে অন্যদের।