দরিদ্র পরিবারের সন্তান আফসানা সুলতানা মায়া (১২)। নামের সৌন্দর্যতার সাথে রয়েছে অদম্য ইচ্ছেশক্তির দারুণ এক স্বপ্ন। কিন্তু কঠিন ব্যাধি হার্টের সমস্যা তার সেই ইচ্ছা শক্তিকে হার মানাতে বসেছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত মায়া অনেক কষ্ট করে আসে স্কুলে। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। ভালো চিকিৎসা হলে সে সুস্থ্য হয়ে উঠবে, কিন্তু দরকার অর্থের। গরীব পিতার পক্ষে মায়ার সুচিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ঝিনাইদাহ জেলার সিনদাহ আলাইপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও স্বপ্না বেগমের মেয়ে আফসানা সুলতানা মায়া। বর্তমানে সে চৌগাছা উপজেলার মাজালি গ্রামে নানা জুমাত আলীর কাছে থাকে। সেখান থেকে ঐতিহ্যবাহি চৌগাছার শহীদ মসিউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে। বর্তমানে মায়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।নানা
জুমাত আলী বলেন, মায়া ছোট বেলা থেকে অসুস্থ্য। নিশ্বাস নিতে তার খুব কষ্ট হয়। যশোরে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বলেছে মায়ার বুকে ছিদ্র আছে। অপারেশন করলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যাবে। অপারেশনের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা লাগবে।
তিনি বলেন, ওর বাবা ইজিবাইক চালক। আমার আর্থিক অবস্থাও ভালো না। ভ্যানে করে পাঠখড়ি বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালাই। এতটাকা দিয়ে অপারেশন করা আমাদের উভয় পরিবারের পক্ষে সম্ভব না। তাই নাতিকে নিয়ে প্রেসক্লাবে এসেছি। ফুটফুটে নাতির জন্য খুব কষ্ট হয়। বুকের রোগ নিয়ে ও নিয়মিত স্কুলে যাই। লেখাপড়ার প্রতি খুব ঝোক (আগ্রহ) আছে। কিন্তু ব্যাধিই যেন মায়ার জীবনের কাল হয়ে দাড়িয়েছেশিশু মায়া জানায়, সে সুস্থ্য হয়ে আর দশজন শিক্ষার্থীর মত স্কুলে আসতে চাই। লেখাপড়া করে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া ইচ্ছা। কথা বলার সময় মায়ার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
মায়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র দে’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মায়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, সে মেধাবী শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার প্রতি তার যথেষ্ঠ আগ্রহ রয়েছে, অসুস্থ্যতার কারনে খুব কষ্ট করেই স্কুলে আসে। তিনি বলেন, স্কুলের পক্ষ থেকে লেখাপড়ার সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। শিশু শিক্ষার্থী মায়ার চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড