যশােরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার মাইকের যন্তনায় যখন অস্থির উপজেলাবাসি, ঠিক সেই সময় জনকল্যানে অগ্রনি ভূমিকা পালন করলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গুঞ্জন বিশ্বাস। তার এই কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে অন্য কােন দল অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগেরই ৯ প্রার্থী আছেন মাঠে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ২, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ২ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন আছেন। প্রতীক পাওয়ার পর এসকল প্রার্থী একাধিক প্রচার মাইক বের করে দুপুর ২ টা হতে রাত ৮ পর্যন্ত যেমন খুশি সাউন্ড দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে ভােটারদের কাছে মাইকে ভােট চাওয়ার থেকে গান বাজনা হচ্ছে বেশি এমনটিই জানালেন উপজেলাবাসি।
বিরামহীন এই প্রচার যেমন শব্দ দূষন হচ্ছে তেমনি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর প্রতিষ্ঠান খুলছে সকল প্রতিষ্ঠান নিচ্ছেন পরীক্ষার প্রস্তুতি। এরই মধ্যে চলছে নির্বাচনের প্রচার মাইক যা শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিবাভক।
অভিযােগ উঠেছে যারা প্রচার মাইক নিয়ে সড়কে নামছেন তারা সড়কের নিয়ম কানুনের বালাই বাঝেনা, কােথায় মসজিদ, কােথায় হাসপাতাল বা ক্লিনিক কােন কিছুই তারা তােয়াক্কা করছে না শুধুই উচ স্বরে বাজছে মাইক।
বিষয়টি উপলব্ধি করতে চৌগাছা সহকারী কমিশনার গুঞ্জন বিশ্বাস শনিবার সন্ধ্যারাতে চৌগাছা ব্রিজের উপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি প্রচার কাজে যুক্ত ইজিবাইক ও থ্রিহুইলার চালকদের নিকট অনুমতি পত্র চাই কিন্তু অধিকাংশ চালকেই সেটি দেখাতে ব্যার্থ হয়। এতাে উচ্চস্বরে মাইক বাজানাে হচ্ছে কেন, তারও কােন সদুত্তর ছিলো না চালকদের কাছে। পরে তিনি সকলকে অনুমতি পত্র কাছে রাখার পাশাপাশি অধিক শব্দে মাইক না বাজানাের নির্দেশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের এমন কর্মাকান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চৌগাছার সচেতন মহল।
খুলনা গেজেট/এএজে