চোখ শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীরের পাশাপাশি চোখের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল স্ক্রিন টাইম বাড়ার কারণে চোখ পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। এর ফলে অনেকেরই চোখে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য চোখের যত্নে নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়া জরুরি। যেমন-
কাঁচা মরিচ: লাল মরিচ বা লাল বেল মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য সবজি হল ফুলকপি, পেঁপে, স্ট্রবেরি । এটি ভিটামিন সি ভেঙে দেয় বলে কাঁচা খাওয়া ভালো। অন্যান্য রঙের মরিচ যেমন হলুদ, বেগুনি এবং সবুজ ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ।
বাদাম এবং সূর্যমুখী বীজ: এক আউন্স সূর্যমুখী বীজ বা এমনকি বাদামে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই এর অর্ধেক পরিমাণ আছে। এই ভিটামিন চোখের জন্য উপকারী।
পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি: পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি যেমন-পালং শাক, মেথি ইত্যাদি ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ। এগুলিতে ক্যারোটিনয়েড লুটিন এবং জেক্সানথিনও রয়েছে। ভিটামিন এ-এর উদ্ভিদ-ভিত্তিক ফর্ম সরবরাহ করে এবং চোখের রোগ যেমন ছানি এবং এ-এমডির ঝুঁকি কমায়।
মিষ্টি আলু: ফল এবং সবজি যেমন গাজর, মিষ্টি আলু, আম, ক্যান্টালুপস, এপ্রিকট ইত্যাদি কমলা রঙের এবং বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন এ এর একটি সমৃদ্ধ রূপ যা রাতের দৃষ্টি এবং অন্ধকারের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চোখের ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে।
লেবু এবং মটরশুটি: ভিটামিন সি যুক্ত লেবু ও ফাইবারযুক্ত মটরশুটি চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
ডিম : ডিমে থাকা জিংক শরীরকে কুসুম থেকে জেক্সানথিন এবং লুটিন ব্যবহার করতে সাহায্য করে। কুসুমের হলুদ-কমলা রঙ ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রেটিনার ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। ডিম চোখের ম্যাকুলা অংশে সুরক্ষামূলক রঙ্গক গঠনেও সহায়তা করে।
ব্রকলি এবং ব্রাসেল স্প্রাউট: এই সবজিগুলিতে ভিটামিন এ , ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এসব সবজি চোখের রেটিনা ভালো রাখে ৷
খুলনা গেজেট/এনএম