কেভিন ডি ব্রুইনা, রোমেলু লুকাকু, থিবাও কর্তোয়া, এডেন হ্যাজার্ড যাদের নিয়ে শুরু হয়েছিল বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম। দেখতে দেখতে বয়সের কাঁটায় সবাই এখন নিজেদের সেরা ফর্ম হারিয়ে কোনোরকমে চলছে। নিজেদের সেরা অবস্থায় না থাকায় এবার বিশ্বমঞ্চে দলকেও তার চাওয়ার সম্পূর্ণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সোনালী প্রজন্মের সেনানীরা।
এবারের কাতার বিশ্বকাপ ছিল সোনালী প্রজন্মের বেলজিয়ামের শেষ পরীক্ষার মতো। সেই পরীক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এই সেনানীরা। বেলজিয়ামও ব্যর্থ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব পেরোতে। আর তাতে বলাই যায়, থেমে গেছে বেলজিয়াম ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের গতিপথ। ২০২৬ সালে এই সেনানীদের দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে ‘এফ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াদের বিপক্ষে জিততেই হতো বেলজিয়ানদের। বিশেষ করে একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে কানাডাকে মরক্কো হারিয়ে দেওয়ায় জয় ছাড়া কোনো বিকল্পই ছিল না বেলজিয়ামের সামনে।
তবে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে গোলশূন্য ড্র ছাড়া অন্যকিছুই অর্জন করতে পারেনি হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনারা। আর তাতে চোখের জলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো দলটিকে। যদিও ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে বেশি আক্রমণ সংগঠিত করেছিল বেলজিয়ামই।
কিন্তু সহজ কিছু সুযোগ মিস করে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে রবার্তো মার্টিনেজের দলকে। বিশেষ করে দলটির স্ট্রাইকার লুকাকু দৃষ্টিকটু মিস করেছেন। খেলার শেষ মিনিটে লুকাকু এমন সুযোগই পেয়েছিলেন, যেখানে ১০০ এর মধ্যে ৯৯ বারই হয়ত গোল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু জালের ১ ফুট সামনে থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।
এদিকে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ড্র করা সত্ত্বেও পরের রাউন্ডে উঠে গেছে ক্রোয়েশিয়া। ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে লুকা মদ্রিচের দল। তাদের সঙ্গে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে মরক্কো। তারা কানাডাকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে ক্রোয়েশিয়ার সমান ৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে। অন্যদিকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুঃখে বিদায় নিলো বেলজিয়াম।