চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির আয়োজনে তিন কোটি টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের সদর দফতরের মাঠে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ও কুষ্টিয়া বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারত হোসেনের উপস্থিতিতে তা ধ্বংস হয়। এ সময় ভারতীয় মদের বোতল ভেঙে ও গাঁজায় আগুন ধরিয়ে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর রোলার দিয়ে মদ ও ফেনসিডিলের বোতল বিনষ্ট করা হয়।
বিজিবি জানায়, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবির হাতে আটক হওয়া ১,৮১৮ বোতল ফেনসিডিলি, ১৩৫৯ বোতল ভারতীয় মদ, ২ বোতল বিয়ার, ৫৮ দশমিক ৬ কেজি গাঁজা, ৯,৬৩৪ পিস ইয়াবা, ২,৫৮০ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ২,১৯৮ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ১০ দশমিক ৪০৮৫ কেজি হেরোইন ধ্বংস করা হয়। এসবের আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তারসহ চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারত হোসেন বলেন, আমাদের পাশের দেশ থেকে এসব মাদকদ্রব্য আসে। আমাদের দেশে ডিমান্ড আছে বলেই তা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে আমাদের মাদককে না বলতে হবে। সীমান্ত এখন অনেকটাই সুরক্ষিত। এজন্য মাদকের চালান এ বছর কমেছে। বিজিবি চেষ্টা করছে মাদকদ্রব্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে। মাদককে জিরো টলারেন্স তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। এটা আগামী দিন থেকে অব্যাহত থাকবে। তবে সবার কাছে একটা দাবি থাকবে, যেন আজকের যুব সমাজ কখনো মাদক গ্রহণ না করে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। ফলে এই দেশে মাদক যেন প্রবেশ না করে, সেজন্য বিজিবির সদস্যদের প্রত্যাশা থাকবে। সর্বশেষ বলতে চাই মাদককে না বলি।
খুলনা গেজেট/ টিএ