চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পরে বিকেলে পুলিশ প্রহরায় তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম (৪২) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার হক মোহাম্মেদের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর সকালে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচার হয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টিম সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের সুলতানপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়। এ সময় একজন মাদক পাচারকারী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে টহল দল আটক করে এবং তার কাছে থাকা দুটি প্লাস্টিকের বস্তা জব্দ করে। যার মধ্যে ২৩৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন কুমার মুখার্জী বাদী হয়ে ঘটনার দিনই এ অভিযোগে দামুড়হুদা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলার বাদী অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ ৯ বছর পর ছয় সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
খুলনা গেজেট/ টিএ