চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জনি (২৫), কালু (২৮), হৃদয় (২৮) নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। আটকদের সবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামে।
ওসি বলেন, উথলী বাজারে সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ উথলী বাজার শাখায় কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। এছাড়া ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা ২ জন নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে একটি লাঠি পর্যন্ত ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উথলী বাজারের এক দোকানি বলেন, ব্যাংক চলাকালীন অধিকাংশ সময় নিরাপত্তা প্রহরীরা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে থাকেন। ব্যাংকে নিরাপত্তার চরম ঘাটতি আছে।
এদিকে ডাকাতি ঘটনার খবর পেয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে খুলনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি ক্রাইম) মো. নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক চালানোর জন্য এ ভবন মোটেও উপযুক্ত না। আজকের এ ঘটনা আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমার ধারণা এ জেলার মধ্যেই অপরাধিদের অবস্থান। আমরা আশাবাদী অল্প সময়ের মধ্যে আসামি ধরতে পারব।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি আছে। ব্যাংকের মতো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটা সিসি ক্যামেরাও নেই। বর্তমান যুগে এটা ভাবা যায় না।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে ডাকাতির ঘটনার ক্লু উদ্ধারে সাদা পোশাকে ব়্যাব, সিআইডি, ডিজিএফআই, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
খুলনা গেজেট /এমএম