চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন। জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ২২ বছরের টুনু হোসেন আনন্দ, একই এলাকার নুরনগর কলোনীপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে ২৩ বছরের মিঠু মিয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার মনোরঞ্জন হালদারের ছেলে ২৮ বছর বয়সী মুক্তা হালদার।
আহত ৩৫ বছর বয়সী রনি আহমেদ রাজশাহী জেলার বাঘমারা এলাকার আলা উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। রনি ও নিহত মুক্তা শহরের এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, দুপুরে টুনু ও মিঠু দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে সরোজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে মুক্তা ও রনিও একই দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় টুনু তাদের ওভারটেক করতে গেলে একটি ইজিবাইকে ধাক্কা খেয়ে মুক্তা-রনির মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে।
এতে আহত চারজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক টুনু ও মিঠুকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান মুক্তাও। তাদের মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এর দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসারত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনিও শঙ্কামুক্ত নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই