রোববার দিনে-দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের উথলী বাজার শাখায় ডাকাতি হয়েছে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
ব্যাংকটির শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, এদিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে প্রথমে তিনজন ব্যাংকে প্রবেশ করে। এরপর তারা পিস্তল উঁচিয়ে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারা ব্যাংকের সবার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে নেয় ও একটি কক্ষে সবাইকে আটকে রাখে। পরে তারা ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার ও লকার থেকে ৯ লাখ টাকা লুট করে চলে যায়। এ সময় ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা এক গ্রাহক চিৎকার শুরু করলে বাজারে থাকা লোকজন তাদের ধাওয়া করে। কিন্তু তারা পিস্তল উঁচিয়ে লোকজনকে গুলি করার হুমকি দেয়। লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে ডাকাত দল মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে তারা পালানোর সময় ইট-পাটকেল মারা শুরু করলে ডাকাতদলের একজনের মাথায় লাগে। এ সময় ডাকাত দলের এক সদস্য পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। এ ফাঁকে তারা মোটরসাইকেলে দ্রতগতিতে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি ও জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া পিস্তলের ম্যাগজিন উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থল ব্যাংক পরিদর্শন করেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিল লিংকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার উপ-ব্যবস্থাপক খন্দকার আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত তারা আটক ও টাকা উদ্ধার হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম