চুয়াডাঙ্গার ডবল মার্ডারের অন্যতম পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার গভীর রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন হসুকপাড়া এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম হল হৃদয়। সে চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা।
র্যাবের পাঠানো প্র্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল বিকেলে মোছাঃ ছামেনা খাতুন কাপড় ক্রয় করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর থানাধীন ভালাইপুর বাজারের মঙ্গল মার্কেটে যায়। সেখানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আশরাফুল বস্ত্রালয়ের কর্মচারী রিয়ন এর সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। তিনি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার ছেলে মোঃ টিপুকে জানায়। টিপু তার বন্ধু ভিকটিম সজল ও মামুনদ্বয়কে নিয়ে একই তারিখ রাতে বাজারে গিয়ে কর্মচারী রিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মোঃ টিপুদের সাথে রিয়নের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়নের পক্ষের লোকজন ধারালো চাকু, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম সজল ও মামুনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহত মামুনের ভাই বাদী হয়ে পরেরদিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব ঝিনাইদহ ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারে এ জোড়া খুনের অন্যতম আসামি হৃদয় চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন হসুকপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে তারা সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোড়া হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত আছে বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড