চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনা দুটিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৭টি মোটরসাইকেল। এ সময় মোটরসাইকেলে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (১৪) নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে এই ঘটনাগুলো ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িত থাকায় পুলিশ কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সেলিম (২৫) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক হিরণকে আটক করেছে। বর্তমানে ইউনিয়ন দুটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসি। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার অফিসে ভাংচুর চালায়। তারা আমার কর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আয়ুব আলী নামে আমার এক কর্মীকে মারধরও করে।
তিনি আরও বলেন, আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরাই তাদের নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টু বলেন, আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা রিপন ও লাভলু নামে দুই কর্মীকে মারধর করে।
অপর ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) প্রার্থী তরিকুল ইসলামের কর্মীরা। তারা আমার কর্মী আলী হোসেনকে মারধর ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনি খাতুনের পেটে লাথি মেরে। তাদের দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) তরিকুল ইসলাম বলেন, এটা বিএনপি নাকি জামাতের অফিস তা কেউ জানে না। কোনো পোস্টারও ছিল না ওই অফিসে। ছোট একটি টংয়ের অফিস। তাই হয়তো ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে গেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারী ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দুজনের আহতের কথা জেনেছি। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয়পক্ষের দু’জনকে আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাউকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।