চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস, কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও এক কর্মীকে মারধর করে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বড় বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে র্যাব ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ হাসনাত সোহাগ বলেন, ভোরে খবর পাই আমার নির্বাচনী অফিস স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পাশে থাকা চায়ের দোকানের গ্যাস সিলিন্ডারেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। মূলত গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে আশেপাশে থাকা আমার কর্মীদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করব। আমার কোনো কর্মী তাদের অফিস ভাঙচুর করেনি।
অপরদিকে, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন, আমার কর্মীরা নৌকা প্রতীকের অফিসে আগুন দেয়নি। তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ভোরে উল্টো আমার বড় বোয়ালিয়া গ্রামের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমার ৩/৪ জন কর্মীর বাড়িও ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় সানজিদ নামে এক কর্মীকে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোরে নৌকা প্রতীকের অফিসে দূর্বত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ মৌলিক অভিযোগ করেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই