করোনা সংক্রমণের প্রতিরোধে বাগেরহাটে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন ৷ লকডাউনের চতুর্থ দিনে চুলকাঠিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট সদরের চুরকাঠি বাজার, সিএন্ডবি বাজার, পোলেরহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বাজার বসেছে। এখানে প্রশাসন আসলে দোকানপাট বন্ধ , আবার প্রশাসন চলে গেলেই সব খোলা ৷ ক্রেতাদের দোকানে ঢুকিয়ে সাটার আটকে চলছে স্বাভাবিক বেচাকেনা ৷ এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি আরো বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
রবিবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই সড়কগুলোতে ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্রা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, নসিমন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যানবাহনের পরিমান খুব কম থাকায় জরুরী কাজে বাইরে আসা যাত্রীদের গুনতে হয়েছে দ্বিগুন বা তিনগুন ভাড়া ৷
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানপাট খোলার নির্ধারিত সময় ৩ টা পর্যন্ত। অথচ বিকাল ৫ টা বাজলেও অধিকাংশ দোকানপাট খোলা থাকছে ৷ খোলা মিষ্টি ও খাবার হোটেল, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকলেও সাধারণ জনগণ বেশ খোশ মেজাজে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন ৷ ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বাভাবিকভাবেই। অনেকেই বের হয়েছেন দৈনন্দিন কাজে। এ ছাড়া অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, লকডাউন সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নির্দেশ অমান্য করায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে ৷ সকলের সচেতনতা জরুরি । মাস্ক ব্যবহারে ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি কমে । তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারী নির্দেশ পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন