যশোরের শার্শায় ইস্রাফিল হোসেন হত্যা মামলায় আরো দুই আসামিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আটক মেহেদী হাসান শার্শা উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত শাহজাহান মীরের ছেলে ও জনি কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কোঁদাল, এক পাতা ঘুমের ওষুধ ও একটি কোমল পানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়।
১৩ অক্টোবর যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম ঢাকার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট থেকে মেহেদী হাসানকে ও যশোরের শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা থেকে জনিকে আটক করে। আটক দু’জন বৃহস্পতিবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট এ হত্যা মামলায় নুর আলম, মোশারফ হোসেন ও মর্জিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আটক নূর আলম শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে, মোশারফ হোসেন একই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে এবং মর্জিনা বেগম ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন একই গ্রামের বজলু মোড়লের ছেলে ইস্রাফিল হোসেন। এরপর তিনি রাতে বাড়ি না ফেরায় ২৯ আগস্ট তার স্ত্রী রোজিনা বেগম শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশের কাছে ওই তিনজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোড়লবাড়ি কবরস্থানের মাটি খুড়ে ইস্রাফিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর আটক নুর আলম হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মেহেদী হাসান ও জনিকে আটক করে। আটকের সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কোঁদাল, এক পাতা ঘুমের ওষুধ এবং একটি কোমল পানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মেহেদী ও জনিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, হত্যাকান্ডের কিছুদিন আগে এলাকার ব্যাংক কর্মচারি রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে চুরি হয়। ওই চুরি কাজে নুর আলম, মেহেদী হাসান, জনি, আজিজ অংশ নিয়েছিল। কিন্তু চুরির বিষয়টি ইস্রাফিল জেনে যায়। ফলে ইস্রাফিলকে হত্যার পরিকল্পনা করে নুর আলম, আজিজ, মোশারফ, জনি, মেহেদী হাসান এবং মর্জিনা। হত্যার পরে ইস্রাফিলের পরিহিত লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, সেন্ডেল এবং মোবাইল ফোন আটক নুর আলমের বাড়িতে চুলায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই