চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে প্রকাশ্যে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে দোস্ত গ্রামের মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজের মালিক আলী আহমদ দাবি করে বলেন, প্রতিনিয়ত দোকান থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটছিল। রোববার টাকা চুরির অভিযোগে ওই শিশুকে কিছুক্ষণ দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাকে মারধর করা হয়নি। এর আগেও বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজের মালিক আলী আহমদ। তবে তার দোকান বেশির ভাগ সময় নারীরা দেখাশোনা করেন। প্রায়ই এই দোকান থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে ধরতে তারা ওৎ পেয়ে থাকে। রোববার দুপুরে টিফিনের সময় ওই স্কুলছাত্র খাবার কিনতে দোকানে আসে। সে সময় তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। সামান্য মারধরও করে। তবে তার শরীর তল্লাশি করে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দুপুরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই দোকানে যায় এবং আমার ছাত্রকে মুক্ত করে আনি। তবে তার কাছে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। দোকানি মারধর না করলেও প্রকাশ্যে বেঁধে রেখেছিল বলে স্বীকার করেছেন। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুর প্রতি এমন আচরণ ঠিক নয়।
ওই দোকানে থাকা রোমানা খাতুন নামে এক নারী বলেন, আমি হাতে নাতে টাকাসহ ধরেছি ওই শিশুকে। তাই বেঁধে রেখেছিলাম।
এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে জানতে চাইলে আব্দুল মোমিন বলেন, অনেক আগে দোকান মালিক আমাকে জানিয়েছিল তার প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুলের কোন ছাত্র-ছাত্রী টাকা চুরি করেছে। এরপর আমি সবাইকে সচেতন করেছি। তবে প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালেহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি রাতে ঘটনাটি শুনেছি। কেউ যদি চুরিও করে এভাবে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা আইনের লঙ্ঘন।
দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুর কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নেব। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই