চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আনসারবাড়িয়া স্টেশনে তেলবাহী ৮ টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই খুলনা ও ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী দুটি ট্রেন ঘটনাস্থলে আসে। পরে ভোররাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
আজ বুধবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ট্রেন লাইনের ওপর থেকে ট্যাংকার সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
পাকসি বিভাগের রেলওেয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, সিঙ্গেল লাইন হওয়ার কারণে রাত ১ টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা ১২ টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওই কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
এর আগে, তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী ও খুলনা থেকে গোয়ালন্দগামী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো আটকা পড়ে। ১০ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীরা পড়েছেন বেশ ভোগান্তিতে।
খুলনায় নৌ-বাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষা ছিল বলে জানা গেছে। খুলনাগামী ট্রেনে ২৫০ থেকে ৩০০ পরীক্ষার্থী যাচ্ছিল। তবে ট্রেনের লাইনচ্যুতির কারণে তারা কেউই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, যা তাদের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ হবে। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা তাদের জন্য হতাশাজনক ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে জানান তারা।
ট্রেন লাইনচ্যুতির কারণে গন্তব্যস্থলে যেতে না পেরে অনেক যাত্রী চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে অবস্থান করছেন।
দুর্ভোগের কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সেখানে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম