ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে ভ্যানচালককে হত্যা করার অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডিত সোহাগ আহম্মেদ (২৩) সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝের পাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে। আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম শরীফউদ্দীন হাসু জানান, সদর উপজেলার জুগিরহুদা গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (১৪) সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবার ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালিয়ে পিতার কাজে সহযোগিতা করতেন। গত বছরের ২৭ জুন তারিখে মামলার আসামি সোহাগ ফুসলিয়ে রুবেলকে তার পাখিভ্যানসহ সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মাঠে একটি খেজুরবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে হত্যা করে লাশ মাঠের একটা ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান। পরে সেই ভ্যান বিক্রির উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ জেলার ডাকবাংলো বুড়োপাড়া এলাকায় গেলে সোহাগের অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় সোহাগকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার হলে সোহাগ হত্যার কথা স্বীকার করে।
ঘটনার পরদিন নিহত রুবেলের পিতা ইয়ামিন আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে সোহাগ আহম্মেদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই হারুন উর রশিদ গত বছরের আগস্ট মাসের ৩১ তারিখে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এ মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য পরীক্ষা শেষে আদালতের বিচারক মাসুদ আলী সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আসামি সোহাগ আহমেদকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডিত আসামিকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম