খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
  নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে সব তৈরি পোশাক কারখানা, কাজে ফিরেছেন পোশাক শ্রমিকরা; শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার

চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীসহ দুইজনের

গেজেট ডেস্ক 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পৃথক স্থানে সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহের হাটখোলা এলাকার মাটিকাটা শ্রমিক জয়দেব পালের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবাশীষ পাল (১২) ও কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া গ্রামের বুলা মিয়ার ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী রাজন হোসেন (১৬)।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত দেবাশীষ পালের মা কিরণ মালা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ছেলে হঠাৎ করেই কয়েকবার বমি করে। জিজ্ঞাসা করলে ছেলে জানায় তাকে কিছু কামড় দিয়েছে। এর পর ক্ষতস্থান দেখে সাপে কামড়িয়েছে বলে নিশ্চিত হই। পরে স্থানীয় ওঝার নিকট নিলে আরও অবস্থার অবনতি হলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, তিন ছেলের মধ্যে দেবাশীষ পাল ছিল মেজো। সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল। রাতে প্রথমে আরশোলায় কামড় দিয়েছে ভেবে ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বমি শুরু হলে বিষয়টি টের পাই।

আজ দুপুর ২টার দিকে মরদেহের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান দেবাশীষ পালের মা কিরণ মালা।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিকুজ্জামান নিহত রাজনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, রাজন ছিল বাকপ্রতিবন্ধী। সে কানে শুনত না, কথাও বলতে পারত না। গতকাল রাত ৩টার দিকে সাপ কামড় দিলে নিজেই সাপকে পিটিয়ে হত্যা করে রাজন। পরে পরিবারের সদস্যরা টের পেলে তাকে স্থানীয় ওঝার নিকট নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ১০ মিনিট পর চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনের শরীরে সাপের কামড়ের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদেরকে অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার পরই হাসপাতালে নিয়ে এলে হয়ত তাদেরকে বাঁচানো সম্ভব হত।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!