চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সংলগ্ন প্রদেশ হেবেইয়ে প্রদেশে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ১০ জন মারা গেছেন, এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জন। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন হেবেইয়ে বৃষ্টি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
চীনের দুর্যোগ মোকবিলা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা শনিবার দুপুর পর্যন্ত হেবেইয়ের বন্যা ও ভূমিধস কবলিত বিভিন্ন স্থান থেকে স্থান থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষকে উদ্ধার করেছেন বলে জানা গেছে। চীনের আবহাওয়া দপ্তর ইতোমধ্যে হেবেইয়ের বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে ‘লাল সতর্ক সংকেত’ জারি করেছে।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত চীনের যেসব প্রদেশে ঘন ঘন প্রবল বর্ষণ-বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে, সেসবের মধ্যে হেবেই অন্যতম।
বার্তাসংস্থা এএফপির একটি দল সরেজমিনে ঘুরে দেখেছে। এএফপির ছবি ও ভিডিওচিত্রগুলোতে দেখা গেছে, প্রদেশের বিভিন্ন জেলার আবাসিক এলাকগুলো রীতিমতো ঢেউ খেলছে বন্যার পানি, ব্যাপকমাত্রায় ঘটেছে অবকাঠামগত বিপর্যয় এবং সড়কগুলো রীতিমতো নদীতে পরিণত হয়েছে।
উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় যারা এখনও নিজের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে ভয় পাচ্ছেন, তাদেরকে নৌকার মাধ্যমে ইন্সট্যান্ট নুডুলস, রুটি ও খাবার পানি পৌঁছে দিচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
গত জুনের শুরু থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত টানা তাপপ্রবাহে রীতিমতো পুড়েছে বেইজিংসহ চীনের বিভিন্ন অঞ্চল। তারপর জুলাইয়ের শেষে দিকে সুপার টাইফুন দকসুরির প্রভাবে রাজধানীসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি।
চীনের জরুরি অবস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হিটস্ট্রোক, তাপপ্রবাহজনিত সমস্যা, বন্যা ও ভূমিধস জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কেবল জুলাই মাসেই চীনে মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের।
খুলনা গেজেট/ বিএম এস