খুলনায় চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টি করছে। বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজে লিপ্ত হয়েছে। দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তকে প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে খুলনা বিএনপি নেতারা বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বরতীকালীন সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনকে যাতে কেউ নিজ হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য গণতন্ত্রকামী মানুষ সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় খুলনা মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জরুরী সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক স. ম. আ. রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, ফকরুল আলম, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, এ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল হক মিল্টন, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এ্যাড. মোঃ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাসাসের ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজীব তালুকদার, শ্রমিকদলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতি নগরীতে ভাঙচুর, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ দলের কেউ জড়িত থাকলে তাদের দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। একই সাথে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে দল থেকে পদত্যাগ করা কয়েকজন বিএনপির নাম ব্যবহার করে দোকানপাট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তালা দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। দলের পদত্যাগী যারা স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিএনপির পরিচয় দিয়ে নগরীতে তান্ডব চালাচ্ছেন তাদের ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে নগরীর শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে পরাজিত শক্তি হলেও তাদের পাশে থাকার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা থেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে অন্তর্বরতীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
অপরদিকে শুক্রবার (৯ আগস্ট) বাদ জুম্মা নগরীর হেরাজমার্কেট জামে মসজিদে মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক স. ম. আ. রহমান, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, মনিরুজ্জামান মন্টু, কে এম হুমায়ুন কবীর, মুর্শিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাঈদ হাসান লাভলু, একরামুল হক মিল্টন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, আবু সাঈদ শেখ, মেশকাত আলী, সালাউদ্দিন মোল্লা বুল বুলবুল, মাসুদ খান, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাকির ইকবাল বাপ্পী, জাসাসের ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, শাফিকুল ইসলাম শাহিন, নাসির উদ্দিন প্রমূখ। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে নগরী ও জেলার বিভিন্ন মসজিদে একইভাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। – খবর বিজ্ঞপ্তির