খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় ৬ আরোহি নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের শঙ্কা

চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক তোয়াব খান

গেজেট ডেস্ক

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান। সোমবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু, নিউজবাংলার নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, আজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তোয়াব খানের ভাগনে সেলিম খান, তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবীর খানসহ পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।

এর আগে বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তোয়াব খানের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে তোয়াব খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সেখানে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘তোয়াব খান স্মৃতি পুরস্কার’ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু সেখানে বলেন, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছরই এই পুরস্কার দেওয়া হবে। খুব দ্রুত এই পুরস্কারের বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।

জানাজা শেষে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দৈনিক বাংলার প্রকাশক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু, নিউজবাংলার প্রকাশক শাহনুল হাসান খান, নির্বাহী সম্পাদক হাসান ইমাম রুবেল, আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেমসহ দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার সংবাদকর্মীরা।

এ সময় তোয়াব খানের সহধর্মিনী হাজেরা খান, মেয়ে তানিয়া খান, ছোটভাই ওবায়দুল কবির এবং তাঁর ভাগনে আজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সেলিম খান উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন তোয়াব খান। জানাজা আর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে সোমবার দুপুরে চিরদিনের জন্য সেই প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ছাড়েন তিনি। দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তোয়াব খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সাংবাদিক নেতা, সাংবাদিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তোয়াব খানের জানাজা শেষে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, তোয়াব খান বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।

জানাজা শেষে প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডের এক অস্থায়ী বেদিতে তোয়াব খানের মরদেহ রাখা হয়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ও উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির খান ছাড়াও জাতীয় প্রেস ক্লাব, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাব-এডিটর কাউন্সিল, প্রথম আলো, কালেরকণ্ঠ, জনকণ্ঠ, সমকাল, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি।

জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তোয়াব খানের মরদেহ নেয়া হয় গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বনানী কবরস্থানে মেয়ে এশা খানের কবরে সমাহিত করা হয় তোয়াব খানকে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!