বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের সমকালকে জানিয়েছেন, এ অব্যাহতির অর্থ মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দল থেকে বহিষ্কার হওয়ায় রাঙ্গার সংসদ সদস্য পদও অনিশ্চিয়তায় পড়েছে।
জাপার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাপা চেয়ারম্যান দলীয় গঠনতন্ত্রের ২২ (২) উপধারার ক্ষমতাবলে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের পদ থেকেঅব্যাহতি দিয়েছেন। গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতা এবং গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাপার প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি উক্ত দল থেতে পদত্যাগ করলে অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। তবে তিনি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন না।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রংপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মসিউর রহমান রাঙ্গা দল থেকে পদত্যাগ করেননি। দলের বিরুদ্ধে সংসদে ভোটও দেননি। এর ফলে এমপি পদ হারানোর ঝুঁকি নেই।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব থেকে জিএম কাদেরকে সরাতে গত ৩১ আগস্ট থাইল্যান্ড চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ কাউন্সিল ডাকেন। এর পরদিন রওশনকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরাতে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করে জাপার সংসদীয় দল স্পিকারকে চিঠি দেয়। মসিউর রহমান রাঙ্গাই সেই চিঠি পৌঁছে দিয়েছিলেন। এর দুই সপ্তাহ পর তিনি চিঠির শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলীয় পদ হারান। পরে সুর নরম করলেও জাপায় ফিরতে না পেরে রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগ দেন রাঙ্গা।