আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সুনেত্রা মারা গেছেন। গত ২৩ এপ্রিল কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুনেত্রা হচ্ছেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। যিনি একাধারে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করলেও অনেক আগেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি।
১৯৭০ সালের ৭ জুলাই কলকাতায় জন্ম অভিনেত্রী সুনেত্রার। তার মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার।
এদিকে এ অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে চিত্রনায়ক জায়েদ খান লেখেন, ‘এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেক দিন আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় গিয়েছেন।’
‘আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজকে হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃত্বে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখব আর আপনাকে মিস করব।’
বাংলাদেশি পরিচালক মমতাজ আলী ঢাকাই সিনেমায় নিয়ে আসেন অভিনেত্রী সুনেত্রাকে। ওই সময়ের হার্টথ্রব নায়ক জাফর ইকবালের বিপরীতে ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উসিলা’ সিনেমায় প্রথম দেখা যায় তাকে। তবে ১৯৯০ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকি’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকমহলে পরিচিতি লাভ করেন সুনেত্রা।
এছাড়া ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জসিম, সোহেল রানা, ফারুক, জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চন ও মান্নাসহ আরও অনেকের সঙ্গেই দেখা গেছে তাকে।
সুনেত্রা অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য―‘বোনের মতো বোন’, ‘যোগাযোগ’, ‘ভুল বিচার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘রাজা মিস্ত্রী’, ‘ঘর ভাঙ্গা ঘর’, ‘কুচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ’, ‘শুকতারা’, ‘সুখের স্বপ্ন’, ‘রাজা জনি’, ‘বাদশা ভাই’, ‘ছোবল’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘দুঃখিনী মা’, ‘বন্ধু আমার’, ‘বিধান’, ‘নাচে নাগিন’, ‘সর্পরাণী’, ‘বিক্রম’, ‘উসিলা’, ‘লায়লা আমার লায়লা’, ‘শিমুল পারুল’, ‘ভাবীর সংসার’, ‘আমার সংসার’, ‘ধনরত্ন, নির্দয়’, ‘উচিত শিক্ষা’, ‘ঘরের সুখ’, ‘সাধনা’ ও ‘আলাল দুলাল’।
খুলনা গেজেট/এনএম