খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪
চিকিৎসা দিচ্ছে কম্পাউন্ডার

চিতলমারী প্রাণী সম্পদ দপ্তরে জনবল সংকট : অভিযোগ অনিয়মের

এস এস সাগর, চিতলমারী (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কম্পাউন্ডার দীর্ঘদিন ধরে পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা দিচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এখানে চিকিৎসক ও জনবল সংকট রয়েছে। তাই হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও পাখি খামারিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সেবা বঞ্চিতরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, এখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার খামারী রয়েছে। এরমধ্যে গাভীর খামার ৩ হাজার ৯২৬টি। সোনালী মুরগীর খামার ৭টি, হাঁসের খামার ৩১টি, ব্রয়লার মুরগির খামার ৯৮টি, ৩২ টি লেয়ার খামার ও বেশ কয়েকটি কবুতর খামার রয়েছে।

এসব খামারে ১২ হাজার ৭৭২টি দেশী গাভী, ৭ হাজার ৫৬০টি উন্নত জাতের গাভী, বকনা ৪ হাজার ৭৩৭টি, ষাঁড় ও বলদ ৬ হাজার ৩০৫টি, ছাগল ১১ হাজার ১৪০টি, ভেড়া ২৬৮টি, শুকর ১১৭টি, কুকুর ৩ হাজার ৬০টি, বিড়াল ২ হাজার ৩৯০টি, দেশী মুরগি এক লাখ ২১ হাজার, উন্নত জাতের মুরগি ৯৯ হাজার ২০০টি, হাঁস ৯৩ হাজার, রাজহাঁস ৯৬০টি, কবুতর ৪০ হাজার ১০০টি, কোয়েল ৫ হাজার ৬৫০টি, টার্কি মুরগি ৩ হাজার ৩০টি ও কয়েক হাজার পাখি রয়েছে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলার প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ১১ টি পদের মধ্যে চিকিৎসকসহ ৫টি পদ শূূণ্য রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কম্পাউন্ডার (মিশ্র কি) মোঃ মেরাজুল ইসলাম। তাই এই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে আসা খামারীরা ফিরে গিয়ে ছোটেন বিভিন্ন কোম্পানীর প্রাইভেট (প্রাণী) চিকিৎসকের কাছে। ওইসব সেবা বঞ্চিত খামারীরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

দপ্তরে একজন ভেটেরিনারী সার্জন, একজন কৃত্রিম প্রজনন সহকারি, ভেটেরিনারী ফিল্ড সহকারি একজন, লাইফস্টক সহকারি একজন ও একজন কম্পিউটার অপরেটরের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে।

চিতলমারী সদর ইউনিয়নের সুরশাইল গ্রামের ছাগল খামারী ইউসুপ আলী শেখ ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের লেয়ার মুরগি খামারী চিম্ময় পোদ্দার জানান, প্রাণী সম্পদ দপ্তরে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। যদিও অনেক ডাকাডাকির পর তারা খামারে আসে এজন্য তাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এছাড়াও অনেক অনিয়ম রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোহর চন্দ্র মন্ডল সব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, চিকিৎসকসহ জনবল সংকট রয়েছে। মাঝেমধ্যে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন কম্পাউন্ডার (মিশ্র কি) মোঃ মেরাজুল ইসলাম পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/নাফি

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!