বাগেরহাটের চিতলমারীতে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনে এ উপজেলার কৃষকরা কাক ডাকা ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বসে নেই।
স্থানীয় কৃষি দপ্তর বলছে, এ বছর যেমন রোগ-বালাই কম, তেমন নেই কোনো পোকার উপদ্রব। তাই প্রতিটি ধানের ক্ষেত যেন এক নয়নাভিরাম সবুজের সমাহার।
চাষিরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। আর এ ফলন ঘরে তুলতে পারলে ধান বিক্রি করে তাঁদের ধারদেনা মিটবে। মুখে ফুটবে হাসি।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এখানের ৭ টি ইউনিয়নে মোট ব্লকের সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে বড়বাড়িয়া ব্লকে ২ হাজার ৫০ একর, হাড়িয়ারঘোপ ২ হাজার ১০০ একর, মাছুয়ারকু এক হাজার ২৩৫ একর, কলাতলা ১ হাজার ২৯৬ একর, রহমতপুর ১ হাজার ১৬১ একর, শৈলদাহ ১ হাজার ২৮৪ একর, হিজলা ১ হাজার ৩৩৩ একর, কুড়ালতলা ১ হাজার ৩৩৪ একর, শান্তিপুর ১ হাজার ১৯৮ একর, শিবপুর ৬৬৭ একর, বড়বাক ৬১৭ একর, কলিগাতি ৭৫৩ একর, চিতলমারী সদর ২ হাজার ৮৭ একর, শ্রীরামপুর ৩ হাজার ৩৪৭ একর, রায়গ্রাম ৩ হাজার ৯১৫ একর, চরবানিয়ারী ৮৬৫ একর, খড়মখালী ৯০৬ একর, চরডাকাতিয়া ৬৭২ একর, সন্তোষপুর ৭৬৬ একর, দড়িউমাজুড়ি ১ হাজার ১৯৮ একর ও কচুড়িয়া ব্লকে ৮১৫ একরসহ মোট ২৯ হাজার ৫৯০.৬ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৯ হাজার ১৯৫.৪ একর জমিতে হাইব্রিড এবং ৩৯৫.২ একর জমিতে উফশী জাতের ধান চাষাবাদ হয়েছে।
পাটরপাড়া গ্রামের কৃষকরা জানান, এ বছর চাষিরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ধান চাষ করেছেন। তাই চারিদিকে শুধুু সবুজ আর সবুজ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও কারেন্ট (মৌয়া) পোকার আক্রমণ না হলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সোনালী ধানে ভরে যাবে গোলা। আর বহু কষ্টে উৎপাদিত ধানের নায্যমূল্য পেলে ঘুচবে ধারদেনা ও পাওনাদারদের তাড়া।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছর ৬৭৯.৬ একর বেশী জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এ বছর ক্ষেতে যেমন রোগ-বালাই কম। তেমনি নেই কোনো পোকার উপদ্রব। তাই এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই