খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ

চিতলমারীতে স্কুলের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের অব্যস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে ওই স্কুলের ৫০ শতক জায়গা বেদখল হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বাবার দান করা জায়গা দখল করেছেন ছেলে। অভিভাবকমহল ও এলাকাবাসি স্কুলের ওই জায়গা উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষক রঞ্জন কুমার বৈদ্য, সাবেক সভাপতি প্রমথনাথ কিত্তুর্নীয়া ও এলাকার প্রবীণ ব্যাক্তিরা জানান, চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের সুধান্য বাড়ই ১৯৭৫ সালে চরবানিয়ারী মৌজার জেএল নং-১১, ৫০৩ এসএ খতিয়ানের ৫০ শতক জমি দান করেন। পরে স্কুলের নামে আরও জমি ক্রয় করা হয়। স্কুলের মোট জমির পরিমান ৯২ শতক। কিন্তু স্কুল ৪২ শতক জমির উপর অবস্থিত রয়েছে। জমিদাতা সুধান্য বাড়ই ছেলে আশুতোষ বাড়ই পূর্ব থেকে ওই ৫০ শতক জমি দখল করে রেখেছেন। বর্তমানে আশুতোষ বাড়ই ওই জমিতে তিনতলা ভবন নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে তারা বর্তমান স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।

চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের অনাদি বৈদ্য জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের দেড়বিঘা জায়গা মাসিক রেজুলেশনে বেদখল দেখিয়ে আসছেন। স্কুলের নামে ওই জায়গার দলিল থাকা সত্বেও আশুতোষ বাড়ই সেটি ভোগদখল করছেন।

আশুতোষ বাড়ই বলেন, ওই ৫০ শতক জমির মধ্যে আমার বাবার নামে সাড়ে ২৪ শতক জমি। বাকি সাড়ে ২৪ শতক জমি আমি ও আমার তিন ভাই মিলে আমাদের চাচাত ভাই সনতান বাড়ইয়ের নিকট থেকে কিনেছি। ওই ৫০ শতক জমি বর্তমানে আমার নামে রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড সূত্রে আমি ভবন নির্মাণ করছি।

স্কুলের বর্তমান সভাপতি নৃপেন মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক রমেন রায় বলেন, আগের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা স্কুলের জায়গা উদ্ধারের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দখলকারী আশুতোষ বাড়ইয়ের হাত থেকে জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট আরও ৪-৫টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম ও গরীবপুর ক্লাস্টার (সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার) তপন কুমার দেবনাথ জানান, এ ব্যাপারে তারা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে স্কুলের বেদখল জায়গা উদ্ধারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!