বাগেরহাটের চিতলমারীর বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুঃ শাহ আলম পরির্দশন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি উপজেলার সন্তোষপুর, কাটিপাড়া, শ্যামপাড়া, শিবপুর ও গোড়ানালুয়া নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি গোড়ানালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের মান দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সকল বিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৪৩টি স্কুলে ক্ষুদ্র মেরামত, ৪০টি স্কুলে রুটিন মেইনটেন্যান্স ও ১১১টি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিকসহ স্লিপ এর টাকা বরাদ্দ হয়। সেই সকল উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করতেই তিনি মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। এদিন তিনি উপজেলার ৫টি স্কুল পরিদর্শন করেন।
কর্মকর্তা এ সময় ৪টি স্কুলের উন্নয়ন কাজে সন্তোষ প্রকাশ করলেও গোড়ানালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের মান দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গণি, চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আলী আকবর ও মোঃ আরিফুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুঃ শাহ আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পরিদর্শনকৃত ৫টি স্কুলের মধ্যে ৪টির মান ভাল হলেও গোড়ানালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের মান খুবই খারাপ। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমরানুজ্জামানকে পুনরায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিতলমারী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর উন্নয়নমূলক কাজের মান নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম