বাগেরহাটের চিতলমারীতে কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিবির মাস্টার গ্রুপ ও মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার চরচিংগুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টুংগিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, কিবির মাস্টার গ্রুপের আরিফুজ্জামান (৪৫), দবির শেখ (৪০), ভুলু মোল্লা (৫০) ও আব্দুল আলী (৩০)। মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রুপের আহতরা হলেন খাদিজা বেগম (২৯), ইউনুছ শেখ (৫৫), ওসমান শেখ (৪০), কদম আলী (৪৫) ও শাহিদা বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে আরিফুজ্জামান ও খাদিজা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কিবির মাস্টার জানান, মঙ্গলবার কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ছিল। তার পক্ষের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন শাহিন শেখ। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান কচির পক্ষের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন অহিদুজ্জামান ঠান্ডা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন মো. ইউনুছ। দুপুর ২ টার দিকে ৫০টি ভোট বাকি থাকতে কচির লোকজন যখন বুঝতে পারে তারা ঠকে যাবে, তখন তারা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৬ থেকে ৭ জনকে আহত জখম করে।
মোস্তাফিজুর রহমান কচি জানান, তার পক্ষের লোকজন জয়লাভ করেছে। এমনটা শুনতে পেরে কিবির মাস্টারের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে ৭ থেকে ৮ জনকে গুরুতর জখম করেছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টুংগিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চিতলমারী উপজেলা শাখার আহবায়ক মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস বলেন, ‘সম্মেলন কেন্দ্রের ৫০০ গজের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটেনি। কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী কিবির মাস্টারের ছেলে ও তার লোকজনের উপর দুর্বৃত্তরা হামলা হামলা চালিয়েছে। এর সাথে আওয়ামী মাইন্ডের লোকজনও জড়িত আছে। যদি বিএনপির লোকজন জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংহঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
চিতলমারী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে