বাগেরহাটের চিতলমারীতে তীব্রশীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাঁড়কাঁপানো শীতে যবুথবু প্রাণীকুল। শীতের তীব্রতায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সেই সাথে শীতজনতি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন সমাজের বিত্তবানদের এই সময়ে অসহায় শীতার্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সপ্তাহ জুড়ে এ উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা এককের ঘরে নেমে আসছে। রাতে ও ভোরে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। সব চেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। তারা বেলা বাড়ার পর রাস্তাঘাটে বের হয়ে কাঙ্খিত আয় করতে পারছেন না। ফলে শীতের সাথে অভাবও তাদের জেঁকে বসেছে। সেই সাথে শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী আক্রন্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডা জনিত রুগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
সুরশাইল গ্রামের ভ্যানচালক আকবর আলী (৬০), পানি বিক্রেতা আজাহার আলী (৬৫), বুট পালিশ ওয়ালা সাধন বৈরাগী (৪৫) ও অটো চালক অহেদুল প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, আমরা গত ৩-৪ দিন ধরে সময়মতো কাজে বের হতে পারছি না। ঠান্ডায় হাত ও পা অবশর হয়ে যায়। শীতের সাথে অভাব আমাদের জেঁকে বসেছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মামুন হাসান জানান, হাসপাতালে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনির বিভিন্ন রোগ নিয়ে রোগী বেশী ভর্তি হচ্ছে। তাদের সকলকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথে নিয়মিত চারিদিকে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ পর্যন্ত তিন হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এছাড়া আরও এক হাজার ৫০০ শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবারের বরাদ্দ পেয়েছি। সে গুলো অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সেই সাথে সমাজের বিত্তবানদের এই সময়ে অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
খুলনা গেজেট/কেএম