বাগেরহাটের চিতলমারীতে শিক্ষকের হাতুড়ীর আঘাতে আলিফ (১০) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শ্রেণীকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থী উপজেলা সদরের উচ্ছাস কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও খড়মখালী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। আহতকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এদিন বিকেলে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে উচ্ছাস কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও আহত আলিফের সহপাঠিরা জানায়, একটি কক্ষে তাঁদের ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস চলছিল। এ সময় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সজল বিশ্বাসকে শিক্ষক অনিম রহমান উচ্ছাস স্কুলের ঘন্টা (বেল) পেটানো হাতুড়ী দিয়ে আঘাতের ভয় দেখায়। ওই আঘাতটি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আলিফের মাথায় লেগে সে আহত হয়। পরে অন্য শিক্ষকরা তাঁকে পার্শবর্তী একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
আলিফের মা লিমা বেগম ও বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একমাত্র সন্তানের মাথায় আঘাত লেগেছে। আমরা আমাদের সন্তানের উন্নত চিকিৎসার দাবী জানাই।’
চিতলমারী ক্লিনিকের পরিচালক চিকিৎসক শেখ ফারুক আহম্মেদ জানান, হাতুড়ীর আঘাতে ওই ছাত্রের মাথা কেটে যায়। তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উচ্ছাস কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও নাজিরপুর উপজেলার বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং অনিম রহমান উচ্ছাসের বাবা অসিকুর রহমান মিলন জানান, ঘটনা তেমন কিছু নয়। অন্য ছাত্রকে ভয় দেখাতে গিয়ে ওর মাথায় আঘাত লেগেছে। আমার স্কুলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ইএমআইএস নাম্বার রয়েছে।
চিতলমারী সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দেবনাথ ও এস এম আলী আকবর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘আঘাতে ওই ছাত্র আহত হয়েছে। আমরা তাঁর খোঁজ নিয়েছি।’
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা খবরটি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এ ধরণের স্কুল করতে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের বিভাগীয় উপ-পরিচালকের স্থাপনা চালু ও পাঠদানের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হয়। ওই স্কুলের এগুলো আছে কিনা আমার জানা নেই।’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে খোঁজ নিয়ে দেখব।’
খুলনা গেজেট/এইচআরডি