খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর
গ্রীষ্মের তাপদাহে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট

চিতলমারীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

এস এস সাগর, চিতলমারী

গ্রীষ্মের তাপদাহে বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে এখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

সোমবার (১৭ মে) পর্যন্ত ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশীর ভাগ নারী ও শিশু। ডায়রিয়া ইউনিটে প্রয়োজনীয় শয্যা না থাকায় অধিকাংশকেই হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাই স্বজনরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এ উপজেলার ডায়রিয়া রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান বলেন, এ উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস করেন। এখানের ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ১০টি। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। গত কয়েক দিনের তাপদাহে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও তাপদাহে এখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এক সপ্তাহে আমাদের এখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ (১৭ মে) পর্যন্ত ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশীর ভাগ নারী ও শিশু। উপজেলার যে সব এলাকায় মানুষ কম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটেশন মানেন না সে সব এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলার ডায়রিয়া রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে। কোনো রকম জটিলতা সৃষ্টির আগেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। একটু সচেতন হলেই পানিবাহিত রোগ এড়ানো সম্ভব। সব সময় দূষিত পানি ও বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাওয়ার আগে যথাযথ নিয়মে হাত ধুতে হবে। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান ও পানি জাতিয় ফল খেতে হবে।

ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কুড়ালতলা গ্রামের বাবলু বিশ্বাস (৪০), অমৃত বাড়ৈ (৬২), শিবপুর গ্রামের আইয়ুব আলী (৮০) ও বারাশিয়া গ্রামের শিমুল মন্ডল (২৮) বলেন, প্রচন্ড গরমে ও বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখন অনেক সুস্থ আছি। তবে শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!