বাগেরহাটের চিতলমারীতে আব্দুর রহিম (২৬) নামের এক নির্মান শ্রমিক বিদ্যুতের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সদর বাজারের একটি নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ আব্দুর রহিম উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। তাঁকে উদ্ধারের পর প্রথমে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ ওয়বায়দুল, তাপস কর্মকারসহ অনেকে জানান, শুক্রবার সকালে সদর বাজারে মোঃ আনোয়ার হোসেন গাজীর নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কাজের মধ্যে আব্দুর রহিম দাঁড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাঁর পিঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে ঘাড়ে স্পর্শ লাগে। এতে বিকট শব্দে বিদ্যুতের স্পার্কের আগুন আব্দুর রহিমের গায়ের ওপর পড়ে এবং পরণের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এতে তিনি দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক জানান, দগ্ধ আব্দুর রহিমের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোঃ আনোয়ার হোসেন গাজীর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমাদের রেকর্ডিয় জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন ভবনের সামনের কিছু অংশের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার প্রবাহিত রয়েছে। অসাবধান বশত কাজ করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত আব্দুর রহিমকে উন্নত চিকিৎসা করাচ্ছি।
তবে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শেখ আব্দুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেন গাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আগে একবার ওই ভবনের ওপর থেকে তার সরিয়েছি। তারা বললে আমরা কাজের সময় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতাম। তাহলে এ দূর্ঘটনা ঘটত না।
খুলনা গেজেট/ টি আই