বাগেরহাটের চিতলমারীতে গৃহবধু ও তাঁর শাশুড়িকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ এজাহার নামী এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
বুধবার (১ জুন) রাতে আহত গৃহবধু শান্তি লতা মজুমদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আহত বউ-শাশুড়ি বর্তমানে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবোখালী গ্রামের দরিদ্র কৃষক প্রকাশ মজুমদারের সাথে একই গ্রামের বিরেন ঢালী ও ধীরেন ঢালীর সাথে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে ৩১ মে সকাল ৭ টার দিকে বিরেন ঢালী ও ধীরেন ঢালীর নেতৃত্বে ৮ থেকে ৯ জন লোক প্রকাশ মজুমদারের বসতবাড়ি সংলগ্ন মাছের ঘেরের পাড়ের নেট জাল হাসুয়া (এক প্রকার দা) দিয়ে কাটতে থাকে। এ সময় প্রকাশের স্ত্রী শান্তি লতা মজুমদার (৩৫), বৃদ্ধা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মা সুনিতী মজুমদার (৬৫) ও ছেলে অংকন মজুমদার (১২) নেট জাল কাটতে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাঁদের ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আহত গৃহবধু শান্তি লতা মজুমদার বাদী হয়ে ধীরেন ঢালীকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ এজাহার নামী এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে আহত গৃহবধু শান্তি লতা আক্ষেপের সাথে বলেন, ‘আমরা ওয়াপদা পাড়ে খাস জমিতে ঘর বেধে থাকি। বারবার বিরেন ঢালী ও ধীরেন ঢালীর নেতৃতে আমাদের ওপর হামলা হয়। কিন্তু কোন সুবিচার পাইনা।’
বিরেন ঢালী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ঘেরের জায়গা আমাদের। দখল করতে গেলেই প্রকাশ মজুমদারের লোকজন বাধা দেয়।’
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শেখ লিয়াকত জানান, বউ-শাশুড়ীকে মারপিটের ঘটনায় গৃহবধু শান্তি লতা বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামী আসামি বিভাষ ঢালী (২৩) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।