বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার অনেক চাষি এ বছর ধান ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করছেন। স্থানীয় কৃষি অফিসের দাবি দিনদিন আমনের ক্ষেত সুরক্ষায় আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি ও তা দমন করতে কৃষকদের সুবিধা হচ্ছে।
চিতলমারী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এতে ফসলের উপকারি অনেক পোকা মারা যায়। পরিবেশ দূষণসহ ধান উৎপাদনে কৃষকেরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে। আর ফসল থাকছে অনেকটা বিষমুক্ত।
উপজেলার চরলাটিমা গ্রামের কৃষক রথিন বিশ্বাস বলেন, আগে টাকা খরচ করে কীটনাশক কিনে ধানের পোকা মেরেছি। কিন্তু এখন আর টাকা খরচ করা লাগে না। আলো জ্বালালে পোকা মরে। এই পদ্ধতিতে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
কাননচক গ্রামের চাষি মিলন খান জানান, তিনি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করেন। তার ক্ষেতে বাদামি ঘাসফড়িং ও পাতা মোড়ানো পোকার উপস্থিতি দেখা গেছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষেতে কোন ধরনের পোকা আছে, তা শনাক্ত করার একটি কার্যকর প্রযুক্তি বলে দাবি করেন তিনি। তনি আরও জানান, আলোক ফাঁদ এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয় উঠছে। এর ব্যবহার আরও বাড়লে কৃষক উপকৃত হবে।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ৫৫ জন কৃষক এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। তারা সকলেই উপকার পেয়েছেন। দিনদিন এর ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম