আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে এখানের প্রচার-প্রচরাণা ছিল তুঙ্গে। এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কে জিতবেন আর কে হারবেন এ নিয়ে চলছে ব্যাপক হিসাব-নিকাশ ও আলোচনা। প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের সীমা নেই। তাঁদের অভিমত এবার এ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিটি পদে তিনজন করে প্রার্থী থাকলেও মূলত তিন পদেই লড়াই হবে দ্বিমুখী।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী মঙ্গলবার চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৪০টি। তারমেধ্যে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুুঁকিপূর্ণ) ভোট কেন্দ্র ২৩ টি ও সাধারন ভোট কেন্দ্র ১৭ টি। মোট ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬০ হাজার ৪৩২ জন, নারী ভোটার ৫৮ হাজার ৫১৬ জন ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
এখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়াল (মোটরসাইকেল), চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন (দোয়াত কলম) ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম অহিদুজ্জামান (আনারস) প্রতিদ্বন্দিতায় নামেন। কিন্তু বিপক্ষ প্রার্থীদের প্রচারে নানা অনিয়ম দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন এস এম অহিদুজ্জামান। তাই এখানে ভোট যুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে অশোক কুমার বড়াল ও আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনের সাথে।
এ উপজেলায় এবারের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এস এম মাহাতাবুজ্জামান (তালা), হিজলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা কাজী আজমীর আলী (উড়োজাহাজ) এবং যুবলীগ নেতা সরদার মেহেদেী হাসান (মাইক)। সাধারণ ভোটারদের মতে, এখানে তিনজন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হবে এস এম মাহাতাবুজ্জামান ও কাজী আজমীর আলীর সাথে।
এ নির্বাচনে এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সুলতানা মল্লিক (কলস), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিবানী বিশ্বাস (ফুটবল) এবং চারুবালা হীরা (হাঁস)। সাধারণ ভোটারদের মতে, এ পদেও তিনজন প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে সুলতানা মল্লিক ও শিবানী বিশ্বাসের সাথে।
এ ব্যাপারে সাধারন ভোটার হাসমত আলী গাজী, সুবল কর্মকার, মো. সাফায়েত হোসেন, মো. ফারুক গাজী, রতন রবি দাসসহ অনেকে জানান, এবারের নির্বাচনে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিটি পদে তিনজন করে প্রার্থী থাকলেও মূলত তিন পদেই লড়াই হবে দ্বিমুখী।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের আইন-শৃখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
খুলনা গেজেট/এএজে