খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ মাঘ, ১৪৩১ | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত ইসলামকে ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি পেল দুদক

চিতলমারীতে দেশী মাছ রক্ষায় নানা উদ্যোগ

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষে তাঁরা হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, নদী-খালে ও বিলে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছেন বিপুল পরিমাণ চরপাটা, ঝাল, ম্যাজিক জাল, ইলিশ জাল, নেট জাল ভেষাল ও কারেন্ট জাল। তাঁদের এ কর্মকান্ডে শুধু দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষা নয়, নদী ও খালের পানি প্রবাহও রক্ষা পাবে। সোমবার দুপুরে এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় অভিজ্ঞজনেরা।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ উপজেলায় মধুমতি, বলেশ্বর ও চিত্রা নদীসহ ৫৫ টি খাল এবং মাছুয়ারকুল, শকুনিয়া, রুইয়ারকুল, খাগড়াবুনিয়া ও বারাশিয়ার বিল রয়েছে। তিনটি নদীর আয়াতন ৩ হাজার ১৮৬ একর, ৫০ টি খালের আয়াতন ১ হাজার ২৮৭ একর ও চারটি বিলের আয়াতন ৩৪৬ একর। এখানে ৭ হাজার ৫০০ জন মৎস্য চাষি ও ২ হাজার ২ জন মৎস্যজীবি এবং ২টি মৎস্য গ্রাম রয়েছে।

এসব জলাশয়ে শিং, মাগুর, শোল, টাকি, পুঁটি, স্বরপুঁটি, বাইম, রয়না, টেংরা, পটকা (টেপা), চিংড়ি, খলিশা, চান্দা, চেলা, চুচড়া, কৈ ও গজারসহ কমপক্ষে ৫০ প্রজাতির দেশী মাছ হয়।

এক শ্রেণীর মানুষ মাছ শিকারের নামে এসব দেশী মাছের বংশ বিস্তার রোধ ও ধংস করছে। তারা মাছ শিকারের জন্য সরকার নিষিদ্ধ চরপাটা, ঝাল, ম্যাজিক জাল, ইলিশ জাল, নেট জাল ভেষাল ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন অবলম্বন করেন। তাঁদের নানা শিকারী কৌশল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ সচেনতামূলক কর্মশালা, প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ নানা উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চিতলমারী উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও ক্ষেত্র সহকারি পলাশ হালদার বলেন, দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও আমারা মিলে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছি। ইতোমধ্যে আমরা ১৮ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। এছাড়া ৬ লাখ টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল, ২৫০টি চরপাটা, ১০০টি ঝাল, ২৫টি ম্যাজিক জাল, ৩টি ইলিশ জাল, ২০টি নেট জাল, ৩৫টি ভেষাল জাল ও নানা প্রকার মাছ শিকারের সরামঞ্জাদি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এসব মালামাল আগুনে পোড়ানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষায় অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে দেশী মাছ রক্ষায় সকলকে আন্তরিক হতে হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!