খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

চিতলমারীতে দুই বছর বিদ্যুৎ বঞ্চিত ১৫টি পরিবার

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিস হতে সুরশাইল (ওয়াপদাপাড়া) গ্রামের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে দু’বছর আগে এখানে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকার বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করেছে।

খুঁটি হতে মিটার বোর্ড পর্যন্ত সার্ভিস তার টানা। এ পাড়ায় বসবাসকারীরা ঘরের ওয়্যারিং সম্পন্ন করেছেন। হোল্ডারে লাগিয়েছেন বৈদ্যতিক বাল্ব। কিন্তু দুই বছর ধরে সংযোগ বিহীন ১৫টি পরিবারের সে বাতি জ্বলে না। এ যেন আলোর গোড়ায় অন্ধকারের মত অবস্থা। সন্ধ্যার পরে এ পাড়ার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এক প্রকার বন্ধ।

শনিবার (৮ মে) দুপুরে এমনটাই জানালেন চিতলমারী উপজেলার সুরশাইল ওয়াপদাপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ সাহেব আলী মীর, আশ্বাব আলী মোড়ল, মারুফ খান, মুর্শিদা বেগম ও মহিরোন বেগম।

তারা আরও জানান, দুই বছর আগে যখন বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ শুরু হয় তখন তাদের মনে এক প্রকার আনন্দের জোয়ার বইছিল। তাই তারা পল্লী বিদুৎ সমিতির গ্রাহক হতে নির্দেশ মত সকল প্রকার কাজ করেছেন। ঘরে ওয়্যারিংসহ সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন করিয়েছেন।

বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান হেফাজ মোল্লাকে কয়েক দফায় প্রতি ঘর হতে তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তারা ১৫টি পরিবার আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।

এ ব্যাপারে হেফাজ মোল্লা বলেন, ওই টাকা ওয়্যারিংয়ের জন্য নেয়া হয়েছে। ওয়্যারিং সম্পন্ন করে দিয়েছে। ২০১৯ সালে ওই পাড়ায় বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সালাম ব্রাদার্স কাজটি পান। কিন্তু কাজটি করেন ইব্রাহিম নামে এক সাব ঠিকাদার। তারা কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করেননি। এছাড়া স্থানীয় এক প্রভাবশালী কাজটি বাধা দেয়ায় ওখানের ১৫ টি পরিবার দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ বঞ্চিত আছে।

তবে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম শেখ আব্দুর রহমান বলেন, বিষটির শুনে আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি। ঠিকাদার কাজ করার সময় বাধা দেয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এজিএম ও জুনিয়র প্রকৌশলীকে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি। আশাকরছি ওই ১৫টি পরিবার খুব শীঘ্র বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!