বাগেরহাটের চিতলমারীতে দীর্ঘদিন ধরে রাতে জ্বলে না সোলার স্টিট লাইট। শুধু রাতে নয়, দিনেও নষ্ট বাতি গুলো জ্বলে না। দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন অর্থ বছরে অপরাধ দমন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং রাস্তায় সোলার স্ট্রিট লাইট গুলো স্থাপন করা হয়েছিল।
এখানে প্রায় চার শ’ সোলার স্ট্রিট লাইট ও এক হাজার হোম সোলার রয়েছে। এরমধ্যে অকেজো লাইট গুলো মেরামতের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) চিঠি দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাটামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় ২০১৫-১৬ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ব্র্রীজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপন করেন। এরপর ভেনাস নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৮-১৯ অর্থ বছর হতে স্ট্রিট সোলার ও হোম সোলার স্থাপনের কাজ করেছেন।
এ উপজেলায় প্রায় ৪০০ স্ট্র্রিট সোলার ও প্রায় ১ হাজার হোম সোলার রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, রাস্তা, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারীদের সুবিধার্থে ২৫, ৩০ ও ৫০ ওয়ার্ডের এ স্ট্রিট সোলার গুলো বাসানো হয়। বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের লাইট অকেজো হওয়ার পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টায় মোটরসাইকেল চালক মোঃ মোহসীন, কলি ঘোষ, ভ্যান চালক আক্কেল আলী, বকিয়ার মোল্লা, ব্যবসায়ী অনুপম সাহা ও সেতু কর্মকার জানান, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডের দুটি সোলার স্টিট লাইটই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ জন্য তাদেরসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস বলেন, প্রতিটি সোলারের মেয়াদ ৩ বছর। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক সৌর আলো নষ্ট আছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি দ্রুত মেরামতের জন্য ভেনাস ও ব্র্রীজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি।
ভেনাস ও ব্র্রীজ নামের ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী চিতলমারীতে না থাকার কারণে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি