বাগেরহাটের চিতলমারীতে সড়কের বেহাল দশা নতুন কিছু নয়! আর বর্ষা মৌসুম এলে তো ভোগান্তির যেন শেষ থাকে না। লোকজনকে চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে চলতে হয়। তারপর আবার গত ক’দিনের জোয়ারের পানি ও অবিরাম বৃষ্টি। অধিকাংশ সড়কের এখন নাকাল অবস্থা। চলাচলে মানুষের জীবনে এখন নাভিশ্বাস উঠেছে। রবিবার বিকেলে এমনটাই জানালেন উপজেলার সুরশাইল গ্রামের ভ্যান চালক আকবর আলী (৬০)।
তিনি আরও জানান, ক’দিনের জোয়ারের পানি ও অবিরাম বৃষ্টিতে এ উপজেলার অধিকাংশ সড়ক এখন যানবহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তা গুলো এখন ভ্যান, নছিমন ও ট্রাক ড্রাইভারদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক রাস্তা আবার গাছপালসহ নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ছে। প্রতিদিন লোকজনকে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। চলাচলে দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। এছাড়া কৃষি পণ্য ও মালামাল আনা নেওয়ার কাজে দেখা দিয়েছে চরম সমস্যা। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে অসংখ্য মানুষের জীবনযাত্র স্থবির হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলার রায় গ্রামের কৃষ্ণ রানা, সুভাষ মৃধা, বিনয় সিংহ সুরশাইলের সুধাংশু মন্ডল, বোয়ালিয়ার টিটব বিশ্বাস, আল বাচ্চু শেখসহ অনেকে জানান, জোয়ারের পানি ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো দ্রুত মেরামত না করলে মরণ ফাঁদে পরিণত হবে। তাই সড়ক গুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ জানান, জোয়ারের পানি ও বৃষ্টিতে অনেক রাস্তা চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের সমস্যা দূর করার জন্য আলোচনা চলছে।
তবে চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী জাকারিয়া ইসলাম জানান, জোয়ারের পানি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলোর খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এ গুলো দ্রুত মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম