বাগেরহাটের চিতলমারীর বাবুগঞ্জ বাজারের প্রভাবশালী নাজমুল হক টিপুর (৪৫) বিরুদ্ধে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। নাজমুল হক টিপু উপজেলার চরশৈলদাহ গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে ও চিতলমারী উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।
চুরিকৃত গাছ করাতকলে (স্মিলে) চেরাই করতে আনলে স্থানীয়রা গাছসহ ওই নেতাকে আটক করে। পরে জনতার তোপের মুখে করাতকলে গাছ ফেলে সে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে বন বিভাগের লোকজন ওই গাছ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় বন কর্মকর্তা চিম্ময় মধুু ওই নেতা নাজমুল হক টিপুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাবুগঞ্জ বাজার এলাকার ছিদ্দিক মিয়া, চা দোকানী মোহসীন ও বাচ্চু শেখ বলেন, ‘প্রভাবশালী নাজমুল হক টিপু বাবুগঞ্জ বাজার এলাকার ত্রাস। সে ইয়াবা সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। সম্প্রতি তাঁর ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাঁর বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়ি বাধে বন বিভাগের গাছ রয়েছে। সেখান থেকে টিপু গোপনে বহু গাছ চুরি করে বাড়ির ফার্নিচার ও আসবাবপত্র তৈরি করেছে। রবিবার (৯ জুন) সকালে সে সরকারি ওই জায়গার একটি নিম গাছ চুরি করে কেটে এসকেন্দার আলীর স্মিলে চেরাই করতে নেয়। সন্দেহ হলে আমরাসহ লোকজনে মিলে ওই গাছ আটক করি। এ সময় জনতার তোপের মুখে টিপু স্মিলে গাছ রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমরা বন বিভাগে খবর দিলে তারা এসে গাছ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।’
নাজমুল হক টিপু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটাতো মানুষ বলছে ঝড়ে পড়া গাছ। তাই কেটেছি। বন বিভাগ মামলা করলেই কি, মামলা হয়ে যাবে? ’
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে বাগেরহাট ষাটগম্বুজ এসএফএনটিসি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ফরেস্টার) চিম্ময় মধু বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরিকৃত গাছ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় নাজমুল হক টিপুর বিরুদ্ধে ফরেষ্ট আইনে মামলা দায়েরের জন্য আমাদের অফিসের আনোয়ার হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছি।’
খুলনা গেজেট/এএজে