বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রায় ঘরে ঘরেই সর্দি-জ্বর ও কাশির রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাম এবং পাড়ার সব বয়সি মানুষই কমবেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হওয়া বেশীর ভাগ রোগী স্থানীয় ফার্মেসী ও পল্লী চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা টেস্টের ভয়ে অধিকাংশ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। সচেতন মহলের দাবি এভাবে চললে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন ওষুধ দোকানদার (ফার্মেসী ব্যবসায়ি) জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলার প্রায় প্রত্যেক এলাকায় ঘরে ঘরে বিভিন্ন বয়সি মানুষের জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ওইসব রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে গ্রামের ডাক্তার ও ফার্মেসীতে ভিড় করছেন। আবার অনেকে গোপনে বাড়িতে থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। তারা হোম কোয়ারেন্টাইন ও বাড়ি লকডাউনের ভয়ে করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করতে চান না। এতে বিপদ বাড়ছে ছাড়া কমছে না।
এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষক মোঃ সাফায়েত হোসেন জানান, এ উপজেলার হাটবাজার গুলোর ফার্মেসিতে হঠাৎ করে প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে পারিবারিক ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান সাংবাদিকদের জানান, সময়টা ভাল যাচ্ছেনা। তাই যাদের সর্দি-জ্বর ও কাশি হয়েছে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। এ ছাড়া ঘরে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবারসহ বিভিন্ন ফলমুল খেতে হবে। সেই সাথে ভাল চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিতে হবে।
শনিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টায় চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন আলী বলেন, ঋতুর প্রভাবে মানুষের জ্বর, কাশি হতে পারে। এতে ভয় পেলে বা আতংকিত হলে চলবে না। হাতের নাগালেই করোনা টেস্টের ব্যবস্থা আছে। টেস্টের প্রয়োজন হলে আমাদের জানলে আমরাই সব ব্যবস্থা করে দিব। এতে ভীতির কিছু নেই। তাই সর্দি-জ্বরে আক্রন্তদের করোনার টেস্ট করে সরকারকে করেনা প্রতিরোধে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই