বাগেরহাটের চিতলমারীতে ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানাধীন বানারজোর গ্রামের একটি বসতবাড়ি থেকে আসামি নূর মোহাম্মদ (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়। একই সাথে সদর কোম্পানি ও ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প (সদর কোম্পানি) আনুমানিক সাড়ে ৭ টায় কাশিয়ানী থানাধীন কুশুমদিয়া গ্রামস্ত সাজাইল ইউনিয়নের অপর একটি বসতবাড়িতে মামলার প্রধান আসামি মো. শফিনুর শেখ (৪০)-কে গ্রেপ্তার করেন।
এর মধ্যে নূর মোহাম্মদ বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার চর বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত মোফেল শেখ ছেলে এবং মো. শফিনুর শেখ একই গ্রামের মৃত সেকেল উদ্দিন শেখ ছেলে।
নিহত ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১১টায় উক্ত বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। এরপর আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে আসামিরা ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর বাড়িতে প্রবেশ করে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি তাদেরকে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে আসামি মো. শফিনুর শেখের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের বুকে ও গলায় গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরকরে। বিষয়টি জানতে পেরে সদর কোম্পানি, র্যাব-৬, খুলনা এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা চলমান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে